শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো, দেশকে ভালোবাসো’ এই স্লোগান নিয়ে দেশজুড়ে ২০ মাসব্যাপী বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ২০১৯-২০২০-২০২১ ঢাকায় যাত্রার অংশ হিসেবে রবিবার সকালে পুরান ঢাকার লালবাগ কেল্লার সামনে এর উদ্বোধন করা হয়। মেলা উদ্বোধন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের হাজী আবুল হাসনাত, শ্রাবণ প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী রবিন আহসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে এ বইমেলার আয়োজন করছে শ্রাবণ প্রকাশনী। বঙ্গবন্ধুর লেখা ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’সহ মোট ১০০ নির্বাচিত বই নিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের পাঁচ মাস আগে থেকেই শুরু হয়েছে এই ভ্রাম্যমাণ বইমেলা। এ মেলায় শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশিত বই ৪০ শতাংশ এবং অন্যান্য প্রকাশনীর বই ২৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি হয়।
বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ভ্রাম্যমাণ বইমেলা নিয়ে এই আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে রয়েছে কালের কণ্ঠ। গত ৩১ জুলাই জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই বইমেলার জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
আজ ঢাকা অংশের লালবাগ কেল্লার সামনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাহে আলম মুরাদ বলেন, আপনারা প্রতিটি ওয়ার্ডে যাবেন। নেতাকর্মীদেরকে বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী পড়তে উৎসাহিত করবেন। যাতে প্রত্যেক নেতাকর্মী বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী জানতে পারে। আমরা জাতির জনকের শততম জন্মবার্ষিকী যথাযথভাবে পালন করব ও তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সহযোগিতা করব।
হাজী আবুল হাসনাত বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু এদেশকে মুক্ত করার জন্য কাজ করেছেন। জেলে গিয়ে পরিকল্পনা করেছেন। যেকারণে তার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীন হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন।
শ্রাবণ প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী রবিন আহসান বলেন, আমরা বই বিক্রির ব্যবসায় নামিনি। আমরা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীকে সামনে রেখে বঙ্গবন্ধুকে নতুনভাবে জানাবো। এভাবে মানুষের মাঝে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ তুলে ধরতে চাই। এই বিষয়টিকে সামনে নিয়েই আমাদের ভ্রাম্যমাণ বইমেলার আয়োজন। শুধু ঢাকা শহরে নয় আমরা টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত এ ভ্রাম্যমাণ বইমেলা চলবে।